Tuesday 16 January 2018

Mechanical engineering মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

মেকানিক্যাল- কি এবং কেন ??
 
মেকানিকাল- ইঞ্জিনিয়ারিং এর সবচেয়ে প্রাচীনতম সাবজেক্ট গুলার মধ্যে একটি। আর্কিমিডিস এর গবেষনা(287-212 BC) পশ্চিমাদের খুব গভীর ভাবে প্রভাবিত করেছিল এবং এর ই ফলস্বরুপ দুনিয়ার সবচেয়ে প্রথম Steam Engine টি আবিষ্কৃত হয়েছিল 10-70 AD এর দিকে । এটা ছিল একদম ই শুরুর দিকের কথা ।এখানে বলে রাখা ভাল- এই ইঞ্জিন থেকেই কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং শব্দের উৎপত্তি ।এরপর আর কোন কিছুই থেমে থাকেনি। এ সম্পর্কিত জ্ঞান যত ত্বরান্বিত হয়েছে, সভ্যতা তত ত্বরান্বিত হয়েছে । এই সাবজেক্ট এও সংযুক্ত হয়েছে(এবং হচ্ছে) বিভিন্ন বৈচিত্রময় জিনিস এবং ফলস্বরুপ এটি দিনদিন আরো অধিক স্বয়ংসম্পুর্ন হয়েছে।

এবার আসা যাক এতে কি কি পড়ানো হয় সেটা নিয়ে। মেকানিকাল এর কোর্স গুলো সম্পর্কে এক কথায় বা একটা ছকে বলা অনেকটাই কঠিন কেননা দিন দিন এ সাবজেক্ট রিলেটেড গবেষনা যেমন হয়েছে ,টপিক্স এর সংখ্যা এবং আয়তন ও ততো বৃদ্ধি পেয়েছে । পাঠদান, গবেষণা এবং চাহিদার উপর ভিত্তি করে এর অনেক শাখা ও তৈরি হয়েছে ।
 
 তারপরেও মোটামুটি প্রচলিত যে চার্ট টা আছে তা তুলে ধরার চেষ্টা করছি- 
 
1. Robotics 
2. Nuclear Engineering 
3. Power Engineering 
4. Advanced Energy Systems 
5. Solar Engineering 
6. Petroleum 
7. Fluid Engineering 
8. Heat Transfer 
9. Aerospace & Automobile 
10. Energy Conversion 
11. Fuels & Combustion Technologies 
12. Ocean, Offshore & Arctic Engineering 
13. Environment & Transportation 
14. Noise Control & Acoustics 
15. Systems & Design
16. Fluid Power Systems & Technology 
17. Engineering & Technology Management 
18. Manufacturing Engineering 
19. Pressure Vessels & Piping 
20. Applied Mechanics ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি
 
খুব ভালমতই জানি, ৩-৪ টা পয়েন্ট ছাড়া অধিকাংশই বোঝার কথাও না
যেহেতু উচ্চ শিক্ষার সাথে সাথে পরবর্তি জিবনের কর্মক্ষেত্র ও জড়িত। তাই মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার রা পরবর্তিতে কি ধরনের কাজ করে সে সম্পর্কে ধারনা পেলেই পাঠ্য বিষয় গুলোর প্রয়োগ জানতে পারবে ,বিষয়গুলো সম্পর্কেও ধারনা পরিষ্কার হবে। যন্ত্রকৌশল এর বিভিন্ন ফীল্ড—  
 
Basic Engineering : 
 
সংক্ষেপে বলতে গেলে এই বিশ্বে গতিশীল,স্থীতিশীল যত বস্তু এবং শক্তির যত রুপ আছে তার সবকিছুর সাথেই মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোন না কোন ভাবে জড়িত।
 
Applied Mechanics: 
 
 মেকানিক্স বা বলবিদ্যা প্রয়োগ করা যায়না এমন কোন বস্তু দুনিয়ায় নেই।ধাতু খন্ড ,শিলা, পানি থেকে শুরু করে বিভিন্ন জটিল সিস্টেম যেমন- দালানকোঠা ,আটোমোবাইল এবং বিভিন্ন যন্ত্রেও এর প্রয়োগ রয়েছে।এই জিনিস গুলো কিভাবে কাজ করে এবং কিভাবে আরো ভাল কাজ করবে তা মেকানিক্স বা বলবিদ্যার মাধ্যমে ব্যাক্ষা করা যায়। এর প্রয়োগ বলে শেষ করা যাবেনা। আর একজন যন্ত্রকৌশলী কে এর প্রয়োগ করতে হয় অসংখ্য ক্ষেত্রে।
 
Fluid Engineering: 
 
এই পৃথিবীতে যত প্রবাহমান বস্তু আছে তার সার্বিক আলোচনা করা হয় এ শাখায়, যেমন- বাতাস ,পানি, তেল এমনকি বালু ও এর ভিতরেই পরে। বিভিন্ন ফ্লুইড মেশিন এবং সিস্টেম যেমন- পাম্প, টারবাইন, কম্প্রেসর, ভাল্ব, পাইপলাইন, হাইড্রোলিক সিস্টেম ইত্যাদি ডিজাইন মেকানিকাল এর এই শাখার অন্তর্ভুক্ত।এজন্যে বিভিন্ন ফ্লুইড এর গতিবিধি এবং ধর্ম সম্পর্কে জানতে হয় ,বিভিন্ন ধর্ম নিয়ন্ত্রন করার পদ্ধতিও জানতে হয়।ব্যাবহারিক ক্ষেত্রে এর বিভিন্ন প্রয়োগ ও সফলভাবে করতে হয় এবং এই ধরনের সব কাজ ই করে একজন মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার।
 
Heat Transfer: 
 
যে কোন শক্তির ব্যবহারেই তাপের উদ্ভব হতে পারে ।তাপের এই সঞ্চারন সংক্রান্ত যাবতীয় পড়াশুনা এখানেই। হাতে থাকা মোবাইল ফোন,ল্যাপটপ, এমনকি ক্ষুদ্র মাইক্রোকন্ট্রোলার থেকে শুরু করে বাস ট্রাক পর্যন্ত সব জায়গাতেই তাপের উদ্ভব হচ্ছে। যন্ত্রাংশের স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য এই তাপের অপসারন করা প্রয়োজন, এবং একই সাথে তা পরিবেশ এবং যন্ত্রাংশের ক্ষতি রোধ করে সবচেয়ে উপযুক্ত পদ্ধতিতেই করতে হবে। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স জিনিস্পত্র নির্মান কারী প্রতিষ্টানে এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার রা কাজ করে থাকে। দালানকোঠা বা সুবিশাল স্থাপত্যএর ভেন্টিলেশন সিস্টেম ও এর ভিতরে পরে ।সারা দুনিয়ায় মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার রা এই কাজগুলো করছে দক্ষতার সাথে ।
 
Energy Conversion & Resources:
 
 আমরা এমন এক দুনিয়ায় আছি যেখানে শক্তির উৎপাদন বিভিন্ন রুপে রুপান্তর ছাড়া আমরা অচল। শক্তির এই রুপান্তর নিয়ে যাবতীয় পড়াশুনা এই বিষয়ে। শক্তির রুপান্তরের জন্য লাগে বিভিন্ন সিস্টেম । উদাহরণস্বরূপ Internal Combustion Engine, External Combustion Engine, Power Plant, Gas Turbine , Steam Turbine, Solar Panel ইত্যাদি আরো শত শত সিস্টেম এই শক্তি রুপান্তরের কাজ গুলো করে যাচ্ছে। এই সিস্টেম গুলার ডিজাইন ,উৎপাদন ,রক্ষণাবেক্ষন ,পরিচালনা এবং গবেষণার মাধ্যমে উত্তরোত্তর উন্নয়ন ইত্যাদি যাবতীয় কাজ করে থাকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার রাই।
 
এছাড়া বিভিন্ন শক্তির নতুন নতুন ব্যবহার উদ্ভাবন , বিভিন্ন সিস্টেম এর দক্ষতা এবং স্থায়িত্ব বৃদ্ধি সংক্রান্ত যাবতীয় গবেষনায় ও মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার রা কাজ করে যাচ্ছে । বিশ্বের মজুদ কৃত তেল ও গ্যাস আর কয়েক শতকের ভিতরেই শেষ হয়ে যাবে। তাই বিকল্প জ্বালানীর উদ্ভাবন ও প্রয়োগ যে কতটা প্রয়োজনীয় তা এখান থেকেই বোঝা যায়। মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার দের ভুমিকা এক্ষেত্রে কতখানি তা ও বোঝা যায়।
 
Transportation
 
Transportation এর বিস্তৃতি মোটামুটি সবার ই জানা ।কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দিক হল-
 
* Aerospace & Aerodynamics 
* Rail Transportation 
*Marine Engineering 
একজন মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার চাইলেই উপরোক্ত যে কোন ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করে ক্যারিয়ার গড়তে পারে।
 
Environmental Engineering: 
 
Noise Control & Acoustics , Solid Waste Processing ইত্যাদি আরো অনেক কিছু এর অন্তর্গত। এ সাইডে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ আছে অসংখ্য মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার এর।যেখানেই যন্ত্র আছে ,সেখানেই শক্তির বিভিন্ন রুপান্তর ঘটছে। আছে Vibration & Pollution ইত্যাদি অনাকাংখিত জিনিস।যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ানোর পাশাপাশি এগুলো দূর করাও অনেক বড় বড় ইঞ্জিনিয়ারিং চ্যালেঞ্জ।আবার চকলেট বা চিপস খেয়ে মোড়ক টা আমরা ফেলে দেই। এভাবে চলতে থাকলে তো শুধু চকলেট আর চিপস এর মোড়ক দিয়েই পরিবেশ দূষীত হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তা কি হচ্ছে?কখনোই না। ফেলে দেওয়া এই মোড়ক টিই প্রক্রিয়াজাত করনের মাধ্যমে নতুন কোন জিনিস বা শক্তি তে রুপান্তরিত হচ্ছে। চকলেট-চিপস এর মোড়ক জাস্ট একটা উদাহরণ হিসেবে বললাম। বিশ্বে যত কঠিন বর্জ্য পদার্থ আছে তার সবকিছু রিসাইকেল করার পিছনেই আছে বিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং চ্যালেঞ্জ। আর এ কাজগুলো করছে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার রাই।
 
Engineering Technology & Manufacturingবিভিন্ন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিতে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার রা সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করে। সেটা ইন্ডিয়ান TATA এর মত গাড়ি নির্মান কারী প্রতিষ্ঠান ই হোক, বা বাংলাদেশের প্লাস্টিক নির্মান কারী RFL এর মত প্রতিষ্ঠান ই হোক । Product designing, Material selection, Process ইত্যাদি চ্যালেঞ্জিং কাজগুলো এরাই করে। কাজগুলো যথেষ্ঠ সৃজনশীল এবং চাহিদার উপর ভিত্তি করে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পরিবর্তন আনতে হয়।
 
 এমনকি যে মেশিন গুলো নতুন করে মেশিন বা প্রোডাক্ট তৈরি করছে সেগুলোও ডিজাইন এবং রক্ষনাবেক্ষন এর কাজ মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার রাই করে থাকে। মাইক্রোকন্ট্রোলার,প্রসেসর,ডায়োড,ট্রানজিস্টর ,মোবাইল,ল্যাপটপ সহ সারা বিশ্বে যত ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি নির্মান কারি প্রতিষ্ঠান আছে,সেখানে এগুলো উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে অনেক জটিল মেশিন ।এগুলোর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষন এর জন্যও মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার অপরিহার্য । 
 
যেখানেই ইন্ডাস্ট্রি আছে ,সেখানে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার লাগবেই। যেখানেই ইউটিলিটি প্ল্যান্ট আছে সেখানেই যন্ত্রকৌশলী দের কাজের সুযোগ আছে। এছাড়াও Materials Handling, Plant Engineering & Maintenance এর মত চ্যালেঞ্জিং কাজগুলোও এরাই করে থাকে।
 
System Designing: 
 
একটা সিস্টেম এর অন্তর্গত বিভিন্ন কাজ মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার রা করে থাকে। এসব কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল-
 
 * Dynamic Systems & Control: 
 
 Where there is a movement there must be a control… গতিশীল যে কোন সিস্টেম বা যন্ত্রের যাবতীয় ক্রিয়াকলাপ মেকানিকাল এর ই অন্তর্গত। গতিশীল বস্তুটি সিডি বা ডিভিডি ড্রাইভ এর ভিতরে ঘুর্নায়মান ডিস্ক বা মহাশুন্যে প্রেরিত কোন গতিশীল কৃত্রিম উপগ্রহ যে কোনটিই হতে পারে। চলমান বস্তুর ঘর্ষণ প্রতিরোধ , তাপ নিঃস্বরন ,ঘুর্নায়মান বস্তুর Centre of Gravity ঠিক রাখা ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে মেকানিকাল এর বিভিন্ন জ্ঞান প্রয়োগ করতে হয়। 
 
 * Fluid Power Systems & Technology : 
 
ধর তোমাকে একটি স্পেসশীপ এর জ্বালানী নির্ধারন এবং ব্যাবহার এর সার্বিক দিক ডিজাইন করতে বলা হল। তুমি অবশ্যই জ্বালানী হিসেবে পেট্রোল ব্যাবহার করবে না । স্পেসশীপ এর জড়তা এবং গতির দিকে নজর রেখেই তোমাকে উপযুক্ত জ্বালানী নির্ধারন করতে হবে ।অনেকসময় একাধিক জ্বালানীর মিশ্রন ও ব্যাবহার করা লাগতে পারে ।আবার সব সময় জ্বালানীর ব্যাবহার ও সমান থাকবে না, কেননা অভিকর্ষ বল ও সমান থাকবেনা সর্বত্র । এখানে স্পেসশীপ শুধুমাত্র একটা উদাহরন হিসেবে তুলে ধরলাম। সারা বিশ্বে যত জায়গায় যত তরল জ্বালানী ব্যাবহৃত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে হবে তার সবকিছুই নির্ধারন করতে হয় মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার দের ই ।রয়েছে উচ্চতর গবেষণার সুযোগ ও।
 
Nuclear Engineering : 
 
যে কোন পারমাণবিক স্থাপনাই এক একটি Heavy Industry. এসব ক্ষেত্রে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার দের Huge কর্মক্ষেত্র রয়েছে।
Pressure Vessels & Piping:সমুদ্রের নীচের উচ্চ চাপ উপেক্ষা করে হাজার ফুট গভীরতা থেকে তেল,গ্যাস,খনিজ উত্তোলন নিশ্চই সহজ কোন কাজ নয়। আবার সহস্র মাইল পাইপলাইন এর মাধ্যমে তেল গ্যাস বিভিন্ন দেশে সরবরাহ ও হচ্ছে। হাজার হাজার ইঞ্জিনিয়ারিং চ্যালেঞ্জ এ সফল হওয়ার পরেই তা সম্ভব হয়েছে। বিভিন্ন শিল্প ও কল কারখানায় ও High Pressure vessels ,Pipelines স্থাপন ও খুব সতর্কতার সাথেই রক্ষনাবেক্ষন করা প্রয়োজন হয়। সারা বিশ্বে তেল গ্যাস খনিজ উত্তোলন এবং আমদানী রপ্তানীর পিছে শত শত কোম্পানী আছে। এই ধরনের ইন্ডাস্ট্রি গুলোতে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার দের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
 
Designing: 
 
ডিজাইনিং সম্পর্কে নতুন করে বলবার মত কিছু নেই ।ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভাষাই হল ডিজাইনিং। ডিজাইন যে কোন জিনিসের ই হতে পারে ।ক্ষুদ্র যন্ত্র বা যন্ত্রের কোন অংশের ও হতে পারে ,আবার বিশ্ববিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ল্যাম্বরগিনির কোন গাড়ির মডেল ডিজাইনিং ও হতে পারে। মানুষের কল্পনাকে বাস্তবে রুপ দেওয়ার একটা উল্লেখযোগ্য মাধম হল এই ডিজাইনিং।পুরান যুগের গাড়িগুলো কি আর দেখা যায়?কখনোই না। ১০ বছর আগে কি মাউন্টেইন বাইসাইকেল বা রোড বাইক ছিল ?কখনোই না।এই পরিবর্তনগুলো করছে ডিজাইনার রাই।এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, এইটা তো জাস্ট আকাআকি ,তেমন আর কি,মেকানিকাল না পড়েও তো করা যায় !কিন্তু জিনিসটা শুধুই আকাআকির মধ্যে সীমাবদ্ধ না। 
 
ইচ্ছামত একটি ডিজাইন করলেই সেটা গ্রহনযোগ্যতা পাবেনা। এখানে ডিজাইন এর সাথে মিলবন্ধন ঘটতে হবে Dynamics আর Mechanics এর ও। নতুন করা ডিজাইন টি পুর্বের ডিজাইন এর চেয়ে উন্নত তর হতে হবে ,তবেই তা মানুষের গ্রহনযোগ্যতা পাবে। ডিজাইনার রা কখনোই তাদের ডিজাইনে সন্তুষ্ট নয়। আজকে তারা যে ডিজাইনটি করে বিশ্ব রেকর্ড করছে, কালকে তাদের রেকর্ড তারাই ব্রেক করছে পুর্বের চেয়ে উন্নত ডিজাইন করে।দুনিয়ার রুপ এভাবেই পাল্টেছে ডিজাইনার দের কারনেই। সাইকেল আর গাড়ী জাস্ট দুটি উদাহরণ, পানি পান করার গ্লাস টি থেকে আকাশে উড্ডয়মান বিমান সবকিছুর পেছনেই কাজ করছে লক্ষ লক্ষ ডিজাইনার। ডিজাইনার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার স্বর্নসুযোগ রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং এর এই শাখায়।
 
Robotics: 
 
 মেকানিক্যাল এর অন্যতম জনপ্রিয় টপিক্স হল রোবটিক্স।যা একইসাথে ইলেক্ট্রনিক্স, প্রোগ্রামিং এবং মেকানিকাল এর সমন্বয়। অর্থাৎ ইলেকট্রনিক্স এবং প্রোগ্রামিং এর একটা উল্লেখযোগ্য অংশ মেকানিকাল এর অন্তর্গত , এবং রোবটিক্স ছাড়াও মেকানিক্যাল এ এদের আরো প্রয়োগ আছে। বাংলাদেশে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং: Already বুঝে গেছ মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার দের ক্ষেত্র কোন কোন জায়গায় ।এবার বাংলাদেশের বিভিন্ন সাইডে খেয়াল করলেই মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার দের কর্মক্ষেত্র তুমি নিজেই বের করতে পারবে ।উচ্চতর গবেষনার সুযোগ তো থাকছেই।এরপরেও যদি কেউ বলে মেকানিকাল এর জব ফীল্ড কম,তার জন্য সমবেদনা ।আর স্যালারী ??সেটা না হয় না ই বললাম…..
 
এখানেই শেষ নয়। একজন যন্ত্রকৌশলীর আরো অনেক বিচিত্র ও চ্যালেঞ্জিং কাজের সেক্টর আছে।প্রতিটা ক্ষেত্রেই নিজের সৃজনশীলতা ও দক্ষতা কাজে লাগানোর সুযোগ আছে। যন্ত্রকৌশলি দের জব ফীল্ড এর খুব সামান্য অংশই উপরে তুলে ধরা হয়েছে। ০ ডিগ্রী থেকে শুরু করে শুরু করে ৩৬০ ডিগ্রী ঘুরে আসলেও এর শেষ হবেনা।ইঞ্জিনিয়ারিং বা বাস্তব জীবন যেটাই হোক প্রতিটা ক্ষেত্রে কোন না কোন ভাবে মেকানিকাল এর প্রয়োগ খুজে পাবেই।
 
মেকানিকাল যাদের পড়া উচিৎ:এবার আসা যাক আর্টিকেল এর সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন অংশ, মেকানিকাল কাদের পড়া উচিৎ সেটা নিয়ে । আমি এতক্ষন অনেক ভাল ভাল কথা বললাম, আর তুমি মেকানিকাল কে নিজের সাবজেক্ট হিসেবে চয়েজ করে ফেলবে সেটা কখনোই ঠিক না। প্রথমেই নিজে বুঝার চেষ্টা কর মেকানিকাল এর উপরোক্ত টপিক্স গুলা আসলেই তোমার ভাল লাগে কিনা । যদি ইন্টারেস্ট ফীল কর তবেই আসা উচিৎ , নতুবা নয় । মেকানিকাল স্মার্ট সাবজেক্ট।
 
 কিন্তু প্রলোভন এর তাড়নায় বা স্মার্টনেস দেখানোর মানসিকতা নিয়ে যদি মেকানিকাল চয়েজ কেউ কর ,তাহলে সেটা হবে বিশাল একটা ভুল ।প্যাশন টা কে প্যাশন এর মতই রাখতে হবে , সেটাকে ফ্যাশন বানানো যাবে না, অন্তত মেকানিকাল এর জন্য না ।তুমি মেকানিকাল পড়লেই নাসায় চাকরী পেয়ে যাবা ,বা বড় বড় ইন্ডাস্ট্রি তে তোমাকে ডেকে নিয়ে উচ্চ বেতনের চাকরী দিবে এমন ভাবা একদম বোকামি ছাড়া কিছু না। তোমার নিজের দক্ষতা কে চূড়ান্ত লেভেল এ আগে নিয়ে যেতে হবে । এছাড়া রয়েছে উচ্চতর গবেষনার বিশাল একটা ফীল্ড । তোমার যদি গবেষনা ধর্মি কাজ গুলো ভাল লাগে, তাহলে মেকানিকাল কে তোমার জন্য One of the perfect Subject মনে করতে পার।
 
এখানেই শেষ না ,আরো অনেক কথা আছে ।মেকানিকাল পড়লে তোমাকে শিক্ষা জীবন থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র পর্যন্ত এমন অনেক বিচিত্র প্রবলেম এর সলিউশন বের করা লাগতে পারে যে প্রবলেম হয়তো কেউ ই ফেস করেনাই ।কারন, মেকানিকাল এর টিচার রা সারা দুনিয়ায় ই একটু কাঠখোট্টা টাইপের।আর প্রবলেম গুলো শুধু টেকনিক্যাল তা কিন্তু না, ম্যাথমেটিকাল ও এনালিটিক্যাল এর মিশ্রন ও থাকে।সোজা সাপটা কথা হচ্ছে ,প্রবলেম এর কোন সংজ্ঞা হয় না, যে কোন ধরনের প্রবলেম ই হতে পারে। প্রবলেম সলভিং এর দক্ষতা এবং নতুন কিছু করার মানষিকতা যত বাড়বে একজন মেকানিকালের ছাত্র/কর্মজীবি তত ভাল করতে পারবে। অনেক খারাপ পরিস্থিতির ও মোকাবিলা করা লাগতে পারে কর্মজীবনে ।এমন খারাপ পরিস্থিতে যাদের মস্তিষ্ক সবচেয়ে ভাল কাজ করবে, মূলত তাদের জন্যই মেকানিকাল.....
 
এত বড় লেখায় বোরিং হওয়া স্বাভাবিক , বা এত বেশি পাঠ্য টপিক্স দেখে ভয় হওয়াও স্বাভাবিক । মেকানিকাল এর ফীল্ড টা আরো বিশাল ,লেখা ছোট হবে কিভাবে । সবার জন্য শুভকামনা এবং যন্ত্রকৌশল এর দুনিয়ায় স্বাগতম..